আজকের গনতন্ত্র কালকের প্রশ্ন !!!
অলিতে গলিতে চায়ের দোকানে, বসার ঘরে, খাবার টেবিলে সবখানে মানুষ ব্যস্ত, তারা কথায় ব্যস্ত, স্বপ্ন দেখতে ব্যস্ত, সবকিছুই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই ভোট দানের ক্ষমতা আমরা কিছু না ভেবেই ভোগ করছি, অবহেলা করছি, দরকার পরলে কিছু চিন্তাভাবনা না করেই বেচে দিচ্ছি অর্থের কাছে, ভয়ের কাছে। তবে এই অধিকার আমরা এত সহজে পাইনি, একটা আধটা ভাষণে, মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে ২০০ বছরের পরাধীনতার শেকল ভাঙ্গেনি, বহু ভারতীয়র প্রাণের বিনিময়ে বহু সংঘর্ষের পর আমরা এই স্বাধীনতা পয়েছি। নির্বাচন ও ভোট দানের ক্ষমতা আমাদের সর্বচ্চো ক্ষমতার প্রতিফলন , আমরা আমাদের দেশের ভাগ্যের নির্ধারক কিন্তু সেটা মূলত কাগজে কলমে, বাস্তবে সাধারণ
মানুষের প্রকৃত ক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার কারণ আছে।
আমাদের আর আমাদের এই দেশের মাঝখানে আমরা কিছু middle man কে বসিয়ে রেখেছি ক্ষমতার শীর্ষে, সেখান থেকে সাধারণ মানুষের
অধিকার চাহিদা সবকিছুই বড্ড আবছা লাগে, সাধারণ
মানুষের পরোক্ষভাবে শাসন করার কথা কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষভাবে প্রত্যক্ষ ভাবে বঞ্চিত হচ্চি। বহু অধ্যায় পেড়িয়ে আজ আমরা
গণতন্ত্রের এই পর্যায়ে , তবে সময়ও পাল্টায়, ব্যবস্থাও পাল্টায়, বিবর্তন
ঘটেই। আমরা আমাদের দেশের ভাগ্য কতদিন কিছু মধসত্বভোগীদের হাতে রাখব আর তাদের কতটা
শক্তিশালী করব তা আমাদেরই ভাবনার বিষয়।
একান্নবর্তী পরিবার যেমন স্বার্থের সাথে সংঘর্ষে ভেঙ্গে যায় তেমনি বৈচিত্রে পুর্ণ, স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার ক্ষমতাশালী সমৃদ্ধ দেশকেও দুর্বলই দেখায় যখন নিজের স্বার্থ আর দেশের স্বার্থের সংঘর্ষ বাধে। কে নিজে টাকা না কামিয়ে দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করবে? কে নিজের বাড়ি বড় না করে দেশের রাস্তা ঠিক করবে? কিন্তু নালিষ করবে, নিন্দাও করবে কিন্তু নিজের কাজটা করবেনা, সেখানে কাজ কম টাকা বেশি এই পন্থা অবলম্বন করবে। বলবে কে? শুনবে কে? ভাষা, বর্ণ , জাতি, নিয়ে ঝগড়া সেই নিয়ে রাজনীতি, কিন্ত সব বাইরে বাইরে, ক্ষমতা আর টাকা, এই হচ্ছে সার কথা, এই নিয়েই যত তামাশা যত কথা যত অকাজ....এই খানে কথা কম কাজ বেশি হওয়া অসম্ভব। এখানে জনগণ কথায় ব্যস্ত থাকো, আমরা টাকা কামাই ক্ষমতা হস্তগত করি কাজ করবে ভুতে !!
ক্ষমতা মানুষের মস্তিষ্কের এতটা জায়গা দখল করে নেয় যে দয়িত্ববোধের জন্য আর জায়গা থাকেনা।প্রত্যক্ষ ক্ষমতা তাকেই দেওয়া উচিত যার প্রত্যক্ষ যোগ্যতা আছে,যোগ্যতার মাপকাঠিকে নামিয়ে নিলে দেশের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। সারা দেশ একসাথে একছন্দে যদি না এগোয় তাহলে গত সমাজের ছন্দপতন অবসম্ভাব্য। বিবর্তন একদিনে আসেনা কিন্তু যখন হয় তখন সবার মনের ক্ষোভ হতাশা ও প্রশ্ন থেকেই তৈরী হয়। প্রগতি আর উন্নতি মানুষের
চরিত্র , তাই মানুষকে প্রগতি আর উন্নতি থেকে দূরে রাখা ভিষণ
বিপজ্জনক । সাধারণ মানুষই যে এইদেশের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক সেই অনুভুতি নির্বাচনের দিন ভোট দেওয়ার সময় মনের কোণায় নিশ্চই উঁকি মারবে, এখন সেই ক্ষমতাকে সেই অনুভুতিকে বাঁচিয়ে রাখা বা চোখ
বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে
তাকে স্বপ্ন হিসেবে ভুলে যাওয়া জনগণের ওপরেই নির্ভরশীল।


No comments:
Post a Comment